♥আমার
ভালবাসা বুঝলেনা
♥
আরিফ জামান
(পাঠ-৫)
আহনাফ আর তানু কখন যে বাসায় চলে গিয়েছে আথনুক বুঝতেই
পারে নাই,
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে
আথনুক ভাবছে আর দেরি করা ঠিক হবে না তাই সে ছায়াকে বললো ছায়া
চল বাসায় যাই,
ভাইয়া,
ছায়া বললো এখানে অনেক ভালো লাগছে আর একটু পরে যাই,
তাছাড়া অনেক দিন
পর এত সুন্দর একটা ছাদে
উঠেছি এখানে এত সুন্দর ফুরফুরে বাতাস
বইছে এটা ছেড়ে আমার মোটেও বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না,
তাই?
জ্বী ভাইয়া,
তাহলে আজকে আমাদের বাসায় থেকে
যাও?
আথনুকের কথা শুনে
ছায়া একটু মুচকি হেসে বললো,
সে কপাল কি আমার আছে...
আথনুক ছায়াকে বললো তুমি
আমাদের বাসায় থাকবে
এখানে কপালের কি হল? ছায়া
লম্বা শ্বাস নিয়ে একটু গম্ভীর স্বরে জবাব
দিল না ভাইয়া আমি এমনিতেই বললাম।
আথনুক ছায়াকে আর কিছু
বললো না আথনুক নিজেও বুঝতে পারছেনা ছায়া তাকে
কি হিসেবে দেখে, আসলে মেয়েদের
মনের কথা বুঝা খুব কঠিন আথনুক মনে মনে ছায়াকে পছন্দ করলেও
কখনো ছায়াকে তার ভালবাসার
কথা বলতে পারবে কিনা সেটা সে নিজেও জানে না।
এর মধ্যে তুষার চলে আসলো,
তুষার আথনুককে জিজ্ঞেস করলো
কিরে দোস্ত তোরা বাসায় যাবিনা?
আথনুক বললো আমি তো যেতেই চেয়েছিলাম কিন্তু ছায়ার
এখানে থাকতে ভাল লাগছে তাই ভাবলাম একটু দেরি
করে যাই,
ছায়া বললো....না
তোর বাসায় যেতে মন চাইছে না কোনটা?
এইটা বলে তুষার একটু হেসে উঠলো,
তুষার আথনুককে বললো চল
আন্টি ডাকছেন।
তুষার আগে নেমে গেল আথনুক ছায়াকে বললো ছায়া
চলো বাসায় যাই,
ভাইয়া তুমি যাও আমি একটু পরে আসছি,
আথনুক রেগে গেল,
ছায়া বুঝতে পারছো এখন কয়টা বাজে?
হ্যা জানি ভাইয়া কিন্তু আমার এখানে
থাকতে ভাল লাগছে,
ছায়া আমি বুঝলাম তোমার এখানে
থাকতে ভাল লাগছে কিন্তু রাতের খাবার
খেয়ে বাসায় যেতে হবে না?
ছায়া একটু হেসে আবারো বললো ভাইয়া আজকে তোমাদের বাসায় থাকবো, তাই
নাকি...
তাহলে তো ভালোই হয়,
কেন ভাল হয়?
এইযে তুমি আজকে আমাদের বাসায় থাকলে
সারারাত ছাদে বসে
তোমার সাথে গল্প করতে পারবো,
তাই?
জ্বী,
ছায়া কেমন জানি চুপ হয়ে গেল।
আথনুক বুঝতে পারছে যদিও তার বাসায় থাকার জন্য ছায়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু সে প্রকাশ
করতে পারছে না,
আথনুক ছায়াকে জোর করতেও
পারছেনা কারণ সে
নিজেও জানে না ছায়া তাকে পছন্দ করে কিনা,
ছায়া আথনুককে বললো ভাইয়া
চলো বাসায় যাই,
দুজনে নিছে নেমে এল।
রাতের খাবার শেষ করে আথনুক তুষারকে বললো দোস্ত
তোরা সবাই আজকে আমাদের বাসায় থেকে
যা,
তুষার বললো আজকে না দোস্ত অন্য আর একদিন থাকবো,
তাহলে তানুকে রেখে যা
আমি কালকে পৌঁছে দিয়ে আসবো,
তুষার তানুকে জিজ্ঞেস করলো
আপু তুমি থাকবে?
হ্যা....
ঠিক তুমি তাহলে থাকো আমি আর ছায়া বাসায় যাই কেমন?
আচ্ছা!
তানু আথনুকের বাসায় রয়ে
গেল,
আথনুক,
তুষার আর ছায়াকে বিদায় দেওয়ার
জন্য নিছে নামলো,
আথনুক তুষারকে বললো দোস্ত
বাসায় পৌঁছে ফোন দিস!
ঠিক আছে,
তুষার আথনুককের কাছ থেকে
বিদায় নিয়ে ছায়াকে নিয়ে চলে
গেল।
আথনুক তুষার আর ছায়াকে বিদায় দিয়ে
উপরে উঠে সোজা তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল,
আথনুক মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করে
আমি যেরকম সবসময়ই ছায়াকে নিয়ে
ভাবি সে-কি
আমাকে সেরকম ভাবে?
আমি যেরকম সবসময়ই ছায়াকে মিস
করি?
সে-কি
আমাকে এরকম মিস করে?
আথনুকের ভেতরে এরকম
হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক
খায় কিন্তু সে এর
জবাব খুঁজে পায়না।
হঠাৎ আথনুকের ফোন বেজে
উঠল আথনুক ভাবলো তুষার বাসায় পৌঁছে গিয়েছে তাই হয়তোবা
সে জানানোর জন্য ফোন
করেছে,
আথনুক ফোন রিসিভ করলো হ্যালো তুষার তোরা
কি বাসায় ঠিক পৌঁছে গিয়েছিস?
তুষার কান্না স্বরে বললো
দোস্ত আমি
"Honda Accident" করেছি ছায়ার
অবস্থা খুব গুরুতর
আর ওর
O+ blood লাগবে তুই তারাতারি পপুলার হাসপাতালে
চলে আয়,
ঠিক আছে আমি আসছি।
(পপুলার ছদ্মনাম)
ছায়ার
Accident এর খবর শুনে আথনুক যেন চোখের পানি ধরে রাখতে পারলোনা,
আথনুক আর দেরি না করে দ্রুত বাসা থেকে বেরিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে
রওনা দিল।
আথনুক হাসপাতালে পৌঁছাতেই তুষার
আথনুককে জরিয়ে ধরে
কান্নায় ভেঙে পরলো
আথনুক তুষারকে সান্ত্বনা দিয়ে
জিজ্ঞেস করলো ছায়া
কোথায়?
ছায়া
ICU এ আছে,
কিন্তু তোরা Accident করলি কিভাবে? একজন
লোক রাস্তা পার হওয়ার
জন্য হঠাৎ করে সামনে দিয়ে দৌড় দিলে আমি লোকটাকে বাচানোর জন্য
হার্ড ব্রেক করি ছায়া সেটাকে সহ্য করতে
না পেরে হোন্ডা থেকে ছিটকে
গিয়ে পাশে পরলে পাশের হোন্ডা তার উপর
দিয়ে চলে যায়,
আচ্ছা ঠিক আছে এখন বল কোন রুমে
Blood দিতে হবে?
তুষার আথনুককে বললো তুই
না অসুস্থ এই অবস্থাই
ছায়াকে
blood দিবি কিভাবে?
আথনুক রেগে গিয়ে বললো তুই চুপ কর!
আমার অসুস্থর থেকে এই
মুহূর্তে ছায়াকে রক্ত
দেওয়া খুব জরুরী, এখন
কথা কম বলে কোন
blood দিতে হবে আমাকে সেখানে নিয়ে চল, তুষার
আথনুককে
blood কালেকশন রুমে নিয়ে
গেল।
খুব শীগ্রই এই গল্পের (পার্ট-৬) পোস্ট করা হবে
এবং পার্ট-৬তে
বিশেষ আকর্শন
থাকবে।
Coming soon will be posted (Part-6) of this story.
No comments:
Post a Comment