♥আমার
ভালবাসা বুঝলেনা
♥
আরিফ জামান
(পার্ট-১১)
জন্মদিনের আনন্দ এবং ছায়ার মুখে শুভেচ্ছা সবকিছু মিলিয়ে আজকের সন্ধ্যা আথনুকের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সন্ধ্যা মনে হচ্ছে। এর
আগে সে কখনোই এত
খুশি হয়নি যেটা আজকে
হয়েছে। আথনুকের
সবচেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে তার ভালোবাসার মানুষটি অসুস্থ হওয়ার পরেও এত কষ্ট করে শুধু মাত্র তার জন্য জন্মদিনের আয়োজন করেছে। বাসার
সবাই যখন খাওয়া দাওয়া
আর গল্পগুজব নিয়ে ব্যস্ত আথনুক তখন তার ভালোবাসার মানুষটিকে
ধাওয়া করে তাকে ধরতে
ব্যস্ত।
ছায়া
যখন দৌড়ে গিয়ে তার
রুমের ভেতরে প্রবেশ করলো আথনুক
কোনো কিছু না ভেবে ঠিক রেল গাড়ির পিছনের চাক্কা যেমন সামনের চাক্কাকে লক্ষ্য করে তাদের গন্তব্য স্থানের দিকে ছুটে চলে আথনুক ঠিক একই ভাবে ছায়াকে ধরার জন্য
ছায়ার পিছু পিছু তার রুমে ঢুকে পড়লো। রেল গাড়ির গন্তব্যস্থান খুব বেশি দূর হলেও আথনুক এবং ছায়ার গন্তব্যস্থান কিন্তু খুব বেশি
দূর নয় বিছানার এপাশ আর ওপাশ। ছায়া
বিছানার ওপাশে দাঁড়িয়ে আথনুককে বলছে ধরতে পারবেনা……….!! আথনুক
বলে উঠলো কি! আমি
ধরে পারবোনা ? তবেরে……. দাড়াও দেখাচ্ছি মজা…!
আথনুক লাফ দিয়ে
বিছানার উপর দিয়ে ওপারে
যেতেই ছায়া আথনুকের
উপর বালিশ ছুড়ে মেরে আবার এপারে চলে আসলো। আথনুক ইচ্ছে করলেই ছায়াকে ধরতে পারে কিন্তু সে ইচ্ছে করেই ধরছেনা
কারণ আথনুক যতবার ছায়াকে ধরতে মিস করছে ছায়া খিল খিল করে হেসে
উঠছে, আর ছায়া যত বার হাসছে ততবারই আথনুকের মনে ভীষণ আনন্দ
হচ্ছে।
ছায়া এমনিতেই দেখতে ভীষণ সুন্দরী তার মধ্যে ছায়া যখন হাসে তখন তাকে আরো সুন্দরী দেখায়। হলুদ শাড়িতে আজকে ছায়াকে আরো বেশি সুন্দরী দেখাচ্ছে। ছায়া আজকে হলুদ শাড়ি পরেছে, চুল গুলো স্টাইল করে বেঁধে রেখেছে , কপালে ছোট্ট করে একটি টিপ্ দিয়েছে, টানা টানা চোখে কাজল দিয়েছে, গোলাপের পাপড়ির মত ঠোঁট দুটোতে
হাল্কা করে লিপষ্টিক দিয়েছে, হাতে কাচের চুড়ি পড়েছে, এবং আথনুকের সবচেয়ে পছন্দের জিনিসটি ছায়া আজকে পড়েছে আর সেটা হলো “পায়েল”।
ছায়া পায়েল
পড়াতে আথনুক যখন বার বার তাকে ধাওয়া করছে তখন ছায়ার দৌড় ঝাপ
করার সময় পায়েল এ থাকা ঝুমকোর দানাটা বার বার বেজে উঠছে আর এতে আরো বেশি ভালো লাগছে। ছায়া যখন হাসে আথনুক তখন ছায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবে মানুষ
কিভাবে এত সুন্দর হয়! ছায়া আবার বললো দেখেছো আমি বলেছিলাম না তুমি আমাকে ধরতে পারবে
না অকর্মার ঢেঁকি….. এই বলে ছায়া আবারো খিল খিল করে হেসে উঠলো। এই কথা শুনে আথনুকের ভীষণ জিদ হলো কি! আমি অকর্মার ঢেঁকি
? দাড়াও দেখাচ্ছি মজা…. এই বলে আথনুক লাফ দিয়ে ছায়াকে ধরে
ফেললো।
আথনুক যেইনা ছায়াকে ধরে ফেলেছে ছায়া তখন পালাতে
চাইলে অমনি পা পিচ্ছলে দুজনে গিয়ে বিছানার উপর পরে গেলো আর ছায়ার গোলাপের পাপড়ির মত ঠোঁট আথনুকের গাল স্পর্শ করলো। এই যা!! কারেন্টে চলে গেলো।।
খুব শীগ্রই এই গল্পের (পার্ট-১২) পোস্ট করা হবে।
Very soon will be posted (Part-12) of this story.