Friday, September 28, 2018


 

আমার ভালবাসা বুঝলেনা

আরিফ জামান

(পার্ট-১১)



জন্মদিনের আনন্দ এবং ছায়ার মুখে শুভেচ্ছা সবকিছু মিলিয়ে আজকে সন্ধ্যা আথনুকের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সন্ধ্যা মনে হচ্ছে এর আগে সে কখনোই এত খুশি হয়নি যেটা আজকে হয়েছে আথনুকের সবচেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে তার ভালোবাসার মানুষটি অসুস্থ হওয়ার পরেও এত কষ্ট করে শুধু মাত্র তার জন্য জন্মদিনের আয়োজন করেছে বাসার সবাই যখন খাওয়া দাওয়া আর গল্পগুজব নিয়ে ব্যস্ত আথনু খন তার ভালোবাসার মানুষটিকে ধাওয়া করে তাকে ধরতে ব্যস্ত


 ছায়া যখন দৌড়ে গিয়ে তার রুমের ভেতরে প্রবেশ করলো আথনু কোনো কিছু না ভেবে ঠিক রেল গাড়ির পিছনের চাক্কা যেমন সামনের চাক্কাকে লক্ষ্য করে তাদের গন্তব্য স্থানের দিকে ছুটে চলে আথনু ঠিক একই ভাবে ছায়াকে ধরার জন্য  ছায়ার পিছু পিছু তার রুমে ঢুকে পড়লোরেল গাড়ির গন্তব্যস্থান খুব বেশি দূর হলেও আথনুক এবং ছায়ার গন্তব্যস্থান কিন্তু খুব বেশি দূর নয় বিছানার এপাশ আর ওপাশছায়া বিছানার ওপাশে দাঁড়িয়ে আথনুককে বলছে ধরতে পারবেনা……….!! আথনু বলে উঠলো কি! আমি ধরে পারবোনা ? তবেরে……. দাড়াও দেখাচ্ছি মজা…!


আথনু লাফ দিয়ে বিছানার উপর দিয়ে ওপারে যেতেই ছায়া আথনুকের উপর বালিশ ছুড়ে মেরে আবার এপারে চলে আসলোআথনুক ইচ্ছে করলেই ছায়াকে ধরতে পারে কিন্তু সে ইচ্ছে করেই ধরছেনা কারণ আথনুক যতবার ছায়াকে ধরতে মিস করছে ছায়া খিল খিল করে হেসে উঠছে, আর ছায়া যত বার হাসছে ততবারই আথনুকের মনে ভীষণ আনন্দ হচ্ছেছায়া এমনিতেই দেখতে ভীষণ সুন্দরী তার মধ্যে ছায়া যখন হাসে তখন তাকে আরো সুন্দরী দেখায়হলুদ শাড়িতে আজকে ছায়াকে আরো বেশি সুন্দরী দেখাচ্ছেছায়া আজকে হলুদ শাড়ি পরেছে, চুল গুলো স্টাইল  করে বেঁধে রেখেছে , কপালে ছোট্ট করে একটি টিপ্ দিয়েছে, টানা টানা চোখে কাজল দিয়েছে, গোলাপের পাপড়ির মত ঠোঁট দুটোতে হাল্কা করে লিপষ্টিক দিয়েছে, হাতে কাচের চুড়ি পড়েছে, এবং আথনুকের সবচেয়ে পছন্দের জিনিসটি ছায়া আজকে পড়েছে আর সেটা হলো “পায়েল”


ছায়া পায়েল পড়াতে আথনুক যখন বার বার তাকে ধাওয়া করছে তখন ছায়ার দৌড় ঝাপ করার সময় পায়েল এ থাকা ঝুমকোর দানাটা বার বার বেজে উঠছে আর এতে আরো বেশি ভালো লাগছেছায়া যখন হাসে আথনুক তখন ছায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবে মানুষ কিভাবে এত সুন্দর হয়! ছায়া আবার বললো দেখেছো আমি বলেছিলাম না তুমি আমাকে ধরতে পারবে না অকর্মার ঢেঁকি….. এই বলে ছায়া আবারো খিল খিল করে হেসে উঠলোএই কথা শুনে আথনুকের ভীষণ জিদ হলো কি! আমি অকর্মার ঢেঁকি ? দাড়াও দেখাচ্ছি মজা…. এই বলে আথনুক লাফ দিয়ে ছায়াকে ধরে ফেললোআথনুক যেইনা ছায়াকে ধরে ফেলেছে ছায়া তখন পালাতে চাইলে অমনি পা পিচ্ছলে দুজনে গিয়ে বিছানার উপর পরে গেলো আর ছায়ার গোলাপের পাপড়ির মত ঠোঁট আথনুকের গাল স্পর্শ করলোএই যা!! কারেন্টে চলে গেলো।।

খুব শীগ্রই এই গল্পের (পার্ট-১২) পোস্ট করা হবে



Very soon will be posted (Part-12) of this story.



নোট: গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!!





আমার ভালবাসা বুঝলেনা

আরিফ জামান

(পাঠ-)


রাস্তায় জ্যামের কারণে তুষারের বাসায় পৌঁছাতে আথনুকে প্রায় দুই ঘন্টা লেগে গেলোগাড়ির হর্ন শুনে ছায়া দোতলা থেকে ছুটে নেমে এলোআথনুক গাড়ির দরজা খোলার আগেই ছায়া দরজা খুলে আথনুকের উপর চোখ গরম করে বকাঝকা করলো, এই তোমার আসার সময় হলো? এত রাতে কে বলেছে তোমাকে আসতে? বাসায় বসে থাকলেই তো পারতে!! এতো কষ্ট করে কে বলেছে আস্তে শুনি? আথনুক চোখের ইশারায় ছায়াকে বোঝানোর চেষ্টা করলো ছায়া চুপ করো আম্মু পাশে আছে কিন্তু কে শোনে কার কথা ছায়া এক নিঃশ্বাসে তার মনের রাগ আথনুকের উপর ছেড়ে দৌড়ে দোতলায় চলে গেলোআথনুক এবার ভীষণ বিপদে পড়েছে কারণ আম্মুর সামনে ছায়া তাকে যেভাবে বকাঝকা করলো এতে আম্মু ধরেই নিবে আমাদের মধ্যে কিছু আছেযেই কথা সেই কাজ!!

আম্মু বললো বাব্বাহ!! কিরে আথনুক কতদিন ধরে এইসব চলছে? আমি তোর মা হয়ে যা করতে পারিনি আজ ছায়া সেটা করে দেখালোতবে আথনুক তুই যাই বলিস আর না বলিস বউ হিসেবে ছায়াকে আমার খুব পছন্দ হয়েছেআথনুক একটু রাগ করে বললো আম্মু তুমি চুপ করতো তুমি যা ভাবছ আসলে তা নয়, তাহলে এতক্ষণ এগুলো কি ছিল? আথনুক আবার বললো আম্মু তুমি কি এখানে বসে বসে আমার সাথে গল্প করবে না উপরে যাবে শুনি? উপরেতো যাবই কারণ উপরে না গেলে তোদের দুজনের বিয়ের কথা পাকা পাকি করবো কিভাবে শুনি? উফফ!! আম্মু আমি ছায়াকে পছন্দ করি ঠিকই কিন্তু মনে মনে, আমি আজ পর্যন্ত ছায়াকে বলতে পারিনি “ছায়া আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি” আথনুক জানেনা তার মা তার মুখ থেকে সত্যি কথাটি শোনার জন্য তাকে পরীক্ষা করছে আথনুক ছায়াকে সত্যি ভালোবাসে কিনা, আথনুক রাগের মাথায় মুখ ফসকে বলে ফেলেছে সে ছায়াকে ভীষণ ভালোবাসে

আথনুক এবার লজ্জায় তার উঁচু মাথাটা নিচু করে বিড়বিড় করে বললো আম্মু এবার চলো উপরে যাই নয়তো ছায়া আরো রেগে যাবেহ্যা তাই চল! আথনুক সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল দিতেই তার চোখে পড়ল দরজা হালকা খোলা আথনুক ভাবল ছায়া হয়তোবা রাগ করে দরজা লাগাতে ভুলে গিয়েছে তাই সে দ্বিতীয়বার বেল না দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলোআথনুক ভিতরে প্রবেশ করে একটু অবাক হয়ে গেল কারণ বাসার সমস্ত লাইট অফ! আথনুক ভাবলো হয়তোবা কারেন্ট চলে গিয়েছে তাই সে তুষারকে ডাক দিলো তুষার…… বাসার লাইট অফ কেন? কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ এলোনা এবার সে ছায়াকে ডাক দিলো ছায়া…… তোমরা সবাই কোথায়? এতেও কোনো সাড়া শব্দ এলোনাআথনুক এবার একটু সামনের দিকে এগোতেই বাসার সমস্ত লাইট জ্বলে উঠলো এবং সেই সাথে বাসার সবাই ডাইনিং টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ডাইনিং টেবিলের উপরে রাখা বিশাল একটি কেক রেখে “Happy Birthday to Athnuk” এই স্লোগান দিয়ে আথনুক কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো এবং ছায়া সবাইকে চুপ করতে বলে নিজে একটি স্পেশাল ভাবে শুভেচ্ছা জানাতে একটি কবিতা আবৃত্তি পাঠ করলো



“জন্মদিন, শুভ জন্মদিন !! ফুলেরা ফুটেছে হাসি মুখে, বাড়ছে ভ্রমরের গুঞ্জন, পাখিরাও গাইছে নতুন সুরে জানাতে তোমায় অভিনন্দন ! নদীতে বইছে খুশির জোয়ার বাতাসে সুবাসিত কলরব, তোমাকে নিয়েই মাতামাতি আজ তোমার জন্যই সব ! জীবনে হও অনেক বড় পৃথিবীকে করো ঋণী, গাইবে সবাই তোমার জয়গান রাখবে মনে চিরদিনিজীবন হোক ছন্দময় স্বপ্নগুলো রঙিন, ভালোবাসায় ভরে উঠুক তোমার জন্মদিন ! জন্মদিন শুভ জন্মদিন !!”


আথনুক এরকম আয়োজন দেখে অবাক হয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানালোআথনুক সবাইকে ধন্যবাদ দিতেই ছায়া বললো তুমি আমাদেরকে ধন্যবাদ না দিয়ে বরং তুমি তোমার আম্মুকে মানে আন্টিকে ধন্যবাদ দাও আন্টি যদি আমাদের কে সাহায্য না করতো তাহলে এই সমস্ত আয়োজন করা সম্ভব হতনাআথনুক মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল আম্মু আমি জানতাম তুমি আমার জন্মদিন কোনোদিন ভুলবেনা কিন্তু এটা জানতাম না যে এদের সাথে মিলে এতো বড়ো আয়োজন করবে “I Love you MOM” হয়েছে আর মায়ের দরদ দেখাতে হবেনা এবার চল কেক কাটবি সবাই অপেক্ষা করছে! আথনুক কেক কেটে প্রথমে তার মায়ের মুখে ছোট্ট একটি টুকরো দিলো আথনুক যখন তার আম্মুকে কেক খাওয়াচ্ছিল তখন তার মা তাকে বার বার ইশারা দিচ্ছিলো ছায়াকে কেক খাওয়ায় দিতেআথনুক একটি কেকের পিচ হাতে নিয়ে ছায়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে ছায়াকে কেক খাওয়ায় দিয়ে বললো আচ্ছা! একটা জিনিস বুঝতে পারছিনা ছায়া তুমি নিছে আমাকে দশ মিনিট ধরে যে বকাঝকা করলে সেগুলো কি নাটক ছিল? ছায়া একটি কেকের পিচ হাতে নিয়ে আম্মুককে খাওয়াতে গিয়ে আথনুকের গালে কেকের ক্রিম মেখে দিয়ে বলবো না বলে লম্বা করে জিব্বা বের করে মুখ ভেংচি মেরে তার রুমের দিকে দৌড় দিলআথনুক ছায়ার পিছু পিছু তার রুমে প্রবেশ করলো।।








নোট: গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!!




 ♥আমার ভালোবাসা বুঝলেনা ♥

আরিফ জামান

(পার্ট-৯)


এই শুনছো!!! আথনুক বাথরুম থেকে জবাব দিল হ্যা বল! তুমি না আদ্রিতাকে স্কুলে নিয়ে যাও!! হ্যা যাব, আমার নাস্তা রেডি কর! ছায়া আবারো ডাকছে এই শুনছো!!! বাথ রুমে কি সারাদিন লাগিয়ে দেবে নাকি শুনি!! একটু তাড়াতাড়ি কর নয়তো আদ্রিতার স্কুলের দেরি হয়ে যাবে! আরে বাবা আমাকে গোসল টাও করতে দেবে না নাকি!!! তারাতারি কর!!! ছায়ার পালা শেষ এবার আদ্রিতা আথনুককে ডাকছে বাবা, এই বাবা!! আথনুক বাথরুম থেকে মাথা বের করে তার ছোট্ট মেয়েটাকে বললো জি আম্মা জান, আমার স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে তুমি তারাতারি কর নয়তো আমার দেরি হয়ে যাবে

হটাত করে দরজায় নক করে কে জেন ডাকছে আথনুকের ঘুম ভেঙে গেল। আথনুক চমকে উঠে ইজি চেয়ারে বসে পরলো আথনুক ভাবছে এতক্ষণ আদ্রিতা আর ছায়াকে নিয়ে যেগুলো দেখলো সেগুলো কি স্বপ্ন ছিল, ছায়ার ঘুম ভেঙে গেছে ছায়া বাথরুমে থেকে বের হয়ে আসলো আথনুক ছায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে স্বপ্নের কথা ভেবে মুচকি হেসে বললো ছায়া তুমি কখন উঠেছো? এইতো কিছুক্ষণ আগে, আমাকে ডাকোনি কেন? তুমি ঘুমোচ্ছিলে তাই ডাকিনি, আথনুক আবারো হাসলো ছায়া আথনুককে জিজ্ঞেস করলো হাসছো কেন? না এমনিতেই, হাসতে হাসতে আথনুক দরজা খুলতে গেলো, একজন নার্স এসে বললো আপনার রুগীর রিলিজ হয়ে গেছে আপনি হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে রুগীকে বাসায় নিয়ে যাবেন, আথনুক ছোট্ট করে গলা নামিয়ে বললো ঠিক আছে

নার্স চলে যাওয়ার পরে পরেই তুষার রুমে প্রবেশ করলো, তুষার রুমে ঢুকেই আথনুককে বললো কিরে তুই রাতে ঘুমাস নাই নাকি? মানে? বললাম তুই সারারাত কি জেগে ছিলি নাকি? ছায়া এই কথা শুনে বললো আথনুক রাত জেগে আমার যে সেবা যত্ন করেছে তা তুইও করবিনা, তাই? হ্যা, আথনুক হেসে বললো আরে না এটা আমার কর্তব্য, তুষার বললো কর্তব্য না অন্য কিছু? মানে? ছায়া ব্যাপারটা বুঝতে পেরে লজ্জায় মাথা নিচু করলো। আথনুকেরও একই অবস্থা। তুষারের একটা বাজে স্বভাব সে সবসময়ই ইয়ারকি করে

আথনুক তুষারকে বললো তুই এবার বক বক না করে ছায়ার নাস্তা বের করে ওকে খাওয়াতে সাহায্য কর আমি দেখেছি ছায়ার রিলিজের কাগজ পত্র নিয়ে আসছি। ঠিক আছে, আথনুক তুষার আর ছায়াকে রেখে নার্সের রুমে চলে গেল। এদিকে ছায়া অনেক দিন পর বাসায় ফিরবে বলে তাই সে হাসপাতালে গোসল করে নিল। আথনুক সবকিছু ঠিকঠাক করে এসে তুষারকে বললো কিরে তোরা রেডি হয়েছিস? হ্যা আমি মোটামুটি সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছি ছায়া গোসল করে বেরিয়ে এলেই আমরা বেরিয়ে পরবো। তুষার আথনুককে বললো ছায়া গোসল করতে করতে তুই নাস্তা করে নে, নারে আমি একবারে বাসায় গিয়ে গোসল করে তারপর নাস্তা করবো। তুষার আথনুককে বললো ব্যাটা! বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হবে তুই নাস্তা করে নে

হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে হাসপাতাল থেকে বের হতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল। আথনুক যদিও ছায়ার সাথ ছারতে চাচ্ছিলনা তারপরও সে তুষার আর ছায়াকে একটা হলুদ ট্যাক্সি ক্যাবে তুলে দিয়ে বললো তোরা যা আমি বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিকেলে আসবো। তুষার রেগে গিয়ে বললো কেন আমাদের সাথে গিয়ে আমার বাসা থেকে নাস্তা করে পরে বাসায় যাওয়া যাবেনা? আথনুক বললো দোস্ত দেখ please রাগ করিসনা আমি কালকে থেকে বাসায় যাইনি এখনো যদি না যাই তাহলে আম্মু চিন্তা করবে তাছাড়া আমি তো বিকেলে আসবো তাইনা? ঠিক আছে তুই বাসায় যা। তবে বিকেলে আন্টিকে সাথে নিয়ে আসিস, ঠিক আছে আসবো

আথনুক তুষার আর ছায়াকে বিদায় দিয়ে বাইক নিয়ে বাসায় ফিরে গোসল করে নাস্তা করে ঘুমিয়ে পরলো। ঠিক তিনটার দিকে ফোনের আওয়াজে আথনুকের ঘুম ভেঙে গেল। আথনুক ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে জবাব দিল ছায়া, ছায়া আথনুককে জিজ্ঞেস করলো তুমি আন্টিকে নিয়ে কখন আসবে? আথনুক বললো পাচটা বা ছয়টা বাজতে পারে। ঠিক আছে দেরী করিওনা তারাতারি আসিও, কেন? আগে আসতো, না! আগে বলো, এখন না তুমি আসো তারপর আমি তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দিব। তাই? হ্যা, কি সারপ্রাইজ বলোনা please...... না বলা যাবেনা। এই বলে ছায়া ফোন লাইন কেটে দিল

আথনুক ফোন রেখে বিছানায় শুয়ে ভাবছে ছায়া কি এমন জিনিস তাকে সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছে। আথনুক আর দেরি না করে দুপুরের খাবার খেয়ে আম্মুকে রেডি হতে বলে সে মার্কেটে গেল, আথনুক ভাবলো ছায়া কি তাকে প্রপোজ করবে কিনা তাই সে ছায়ার জন্য একটা "লাভ" কার্ড কিনলো সাথে একটা লাল গোলাপের স্টিক কিনে নিল সাথে একটা পায়েল কিনে সুন্দর করে প্যাকেট করলো। আথনুক বাসায় ফিরে গিফ্টের প্যাকেটটা আন্টিকে না দেখিয়ে লুকিয়ে নিল এবং বললো আম্মু চল দেরী হয়ে যাচ্ছে, আব্বু তুই একটু বস আমি ছায়ার জন্য একটু স্যুপ বসিয়েছি ঐটা হলেই বের হব

ঠিক ছয়টার সময় আথনুক তার আম্মুকে নিয়ে তুষারের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আথনুককে একটা চিন্তা বারবার তার মাথায় খোচা দিচ্ছে সারা রাস্তায় তার মাথায় শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ছায়া তাকে কি এমন জিনিস সারপ্রাইজ দিবে। গাড়ি যতই তুষারের বাসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আথনুকের নিঃশ্বাস ততই ছোট হয়ে আসছে। আথনুক এখন শুধু অপেক্ষা করছে গাড়িটা কখন গিয়ে ছায়ার বাসার নিচে দারাবে।



নোট: গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!!