♥ আমার ভালবাসা বুঝলেনা
♥
আরিফ জামান
(পার্ট-২৬)
করিম চাচা আপন মানুষ না হলেও আপন জনের থেকেও বেশি করেছেন,
লোকটি আসলেই অনেক ভালো রামিশা ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছে অচেনা জায়গায় অচেনা মানুষের সাথে মিশতে নেই কারণ অচেনা মানুষ সুযোগের ফায়দা উঠিয়ে ক্ষতি করতে চায় কিন্তু রামিশার দীর্ঘ দিনের ভুল ধারণা করিম চাচা আজকে প্রমান করে দিল পৃথিবীতে সব অচেনা মানুষ এক নয় করিম চাচার মতো ভালো সহজ সরল মানুষ পৃথিবীতে আছে বলেই দুনিয়া এখনো টিকে আছে নয়তো দুনিয়া অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যেত। করিম চারার টাকা পয়সা আর্থিক অবস্থা খুব ভালো না থাকলেও তার মনটা অনেক বড়
মানুষকে কিভাবে সম্মান করতে হয় মানুষকে কিভাবে সাহায্য করতে হয় সেটা তিনি খুব ভালো
ভাবে জানেন। কোথায় আছে “আল্লাহ পাক কাউকে টাকা পয়সা দিয়েছেন কিন্তু মনে সুখ দেন নাই আবার কাউকে টাকা পয়সা দেয় নাই অথচ সুখ দিয়েছেন”
সত্যি কথা বলতে কি করিম চাচার মতো ভালো মানুষ আজকাল পাওয়া যায় না।
আথনুক বৃষ্টিতে ভেজার কারণে তার শরীরে জ্বর এসেছে বাহিরে ঝড় তুফান হচ্ছে যার কারণে রামিশা করিম চাচাকে ডাকতে পারছে না। রামিশা কোনো উপায় না দেখে
আথনুক-কে বিছানার উপর তুলে শুয়ে দিল, রামিশা আথনুক-কে বিছানায় শুয়ে দেয়ার সময় আথনুক রামিশা-কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
অনেকদিন পর হঠাৎ করে পুরুষের হাত তার গায়ে পড়াতে রামিশার গা শিউরে উঠলো।
রামিশা আথনুকের হাতটা ছেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু কিছুতেই পারলো না। আথনুক তার মাথা রামিশার বুকে চেপে ধরে রেখেছে, আথনুকের শ্বাস প্রশ্বাস এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছে যে রামিশার বুকে একটা অন্য রকম অনুভুতি হচ্ছে।
আথনুক তার ডান পা রামিশার দুই পায়ের মাঝখানে দিয়ে সাপের মত পেচিয়ে রেখেছে।
রামিশা হঠাৎ অনুভব করলো তার থাইয়ে শক্ত কিছু একটা জিনিস লাগছে।
রামিশা তার ডান হাত পায়ের কাছে নিয়ে বের করার চেষ্টা করলো এতো শক্ত কি জিনিস তার থাইয়ে লাগছে। রামিশা অনকে কষ্টে যখন শক্ত জিনিস টি হাত দিয়ে ধরে টান দিয়ে উপরে তুলল তখন সে লক্ষ্য করল আথনুক যে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পড়েছে সেটার পকেটের বাটন তার থাইয়ে লাগছিল।
জ্বর এর কারণে
আথনুকের শরীর এতটাই গরম হয়েছে যে রামিশার
বুক পুড়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি জ্বর বারতে থাকে তাহলে অনেক বড় ধরনের দূর ঘটনা ঘটতে পারে।
রামিশা আথনুক-কে চিত করে শুইয়ে দিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়ল, রামিশা বাথরুম থেকে বালতিতে করে পানি নিয়ে এসে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে আথনুকের মাথায় পানি দিল।
মাথায় পানি দেয়া শেষ করে আথনুকের শরীর থেকে গেঞ্জি খুলে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিল।
রামিশা আথনুক-কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ময়লা পানি বাথরুমে ফেলতে গেল। রামিশা বাথরুম থেকে ফিরে এসে
মাটি থেকে চাদর তুলে আথনুকের গায়ে জড়িয়ে দিতে গেল কিন্তু চাদর গায়ে দেওয়ার সময় আথনুক রামিশার হাত বুকে চেপে ধরেছে। রামিশা জোর করে হাত সরিয়ে নিতে পারছে না।
আথনুক রামিশার হাত বুকে চেপে ধরাতে রামিশা অনুভব করলো আথনুকের শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে এবং আথনুক ঠান্ডায় কাঁপছে। রামিশা বুঝতে পারছেনা সে কি করবে! কোনো উপায় না দেখে রামিশা আথনুক-কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
রামিশা ভালো করে জানে তার এই কাজটি করা উচিত হয় নাই কিন্তু আথনুক-কে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে জড়িয়ে ধরতে হবে এতে
আথনুক রামিশাকে খারাপ বা বাজে বলে তাতেও তার কোনো আপত্তি নেই কারণ সে এত টুকু জানে এই মুহূর্তে আথনুকের জীবন বাঁচানো ফরজ।
রামিশা আথনুক-কে জড়িয়ে ধরাতে আথনুক পূর্বের মত রামিশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তার মুখ রামিশার বুকে চেপে ধরলো।
আথনুক রামিশাকে জড়িয়ে ধরতেই তার শাস্প্রশাস ঘন হতে থাকলো।
রামিশা হঠাৎ করে
লক্ষ্য করলো আথনুক তার মুখ রামিশার স্তনে ঘসছে। রামিশার শরীর শিউরে উঠলো, রামিশা আথনুকের মুখ সরিয়ে দিল কিন্তু কে শোনে কার কথা আথনুক আবারো কপালে, গালে, গলায় আলতো করে চুমু দিতে থাকলো। আথনুক এমন ভাবে তার শরীরে চুমু দিচ্ছে যে রামিশা নিজেকে কন্ট্রোল করতে পার্সিলোনা। রামিশা লক্ষ্য করলো আথনুক তার স্তনে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে চাপ দিচ্ছে।
আথনুকের এই পাগলামি দেখে রামিশার শরীর কাঁপছে, রামিশা আথনুকের এই অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছে তার যে অবস্থা ইচ্ছে করলেও তার হাত থেকে চার পাওয়া যাবেনা। রামিশা আথনুকের হাত সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই পারছে না।
রামিশা অনেক চেষ্টা করেও যখন দেখলো কোন লাভ হবেনা হাত সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হলো তখন
সে চুপ করে শুয়ে থাকলো।
আথনুক তার মুখ রামিশার মুখের সাথে লাগিয়ে পাগলের মত চুমু দিচ্ছে। আথনুকের এই পাগলামির কারণে রামিশা নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে সেও চুমু দিতে থাকল।
আথনুক
এক সময়
রামিশার নাইট ড্রেস এর বাটন খুলে একটি স্তন মুখে নিয়ে চুমু খেতে থাকলো। আথনুকের চুমুর কারণে রামিশা যৌবন জ্বালায় মাতাল হয়ে গেলো।
আথনুক রামিশাকে এতটাই মাতাল করে দিয়েছে যে ভুলেই গিয়েছে সে আথনুকের সাথে বেড়াতে এসেছে।।
No comments:
Post a Comment