Saturday, September 29, 2018




আমার ভালবাসা বুঝলেনা

আরিফ জামান
(পার্ট-২৮
)


ছায়ার ভালবাসা আথনু এর জীবনে এখন কঠিন পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছেআথনু জীবনে এই প্রথম কোনো একটি মেয়েকে ভালোবেসে ছিলো কিন্তু তার দুর্ভাগ্য ভালোবাসা পাওয়ার আগেই হারিয়ে গিয়েছেআথনু প্রেমের তৌরি সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ভালোবাসার তৌরি ঘাটে ভেড়ার আগেই মাঝ দরিয়ায় ডুবে গিয়েছেআথনু এতদিন গুরুজনদের কাছে শুনে এসেছে ভালোবাসা একতরফা হয় না ভালোবাসা হয় ঠিক নেগেটিভ পজেটিভ মিলিত হলে যেভাবে আধার ঘরে আলো জ্বলে ওঠে ঠিক সেভাবে আসল ভালোবাসা পেতে হলে দুটি মন একত্রীত হওয়া খুব জরুরি নয়তো একটা ভুলের জন্য সারা জীবন কাঁদতে হয়আথনু আজকে বুঝতে পারছে গুরুজনেরা যে কথা গুলো বলে গিয়েছিলেন সেগুলো ঠিক বলেছেনআথনু আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ভেবে চিন্তে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে কি পরিণতি হয়আথনু ছোট বেলা থেকে সব কিছু সেক্রিফাইজ করে এসেছে আজ সেই জিনিসটা তার ভালোবাসার সামনে বাধা হয়ে বিশাল আকৃতির দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেআথনু এর  এখন মনে হচ্ছে কারো জন্য তাকে সেক্রিফাইজ করতে হবেআথনু বিছানায় শুয়ে যখন এইসব কথা ভাবছিলো তখন তার মনের অজান্তেই চোখ দিয়ে জল পরে বালিশ ভিজে যাচ্ছিলোএই ভালোবাসা হলো আজব জিনিস! কেও পাগলের মতো ভালোবাসে ভালবাসার মানুষকে পায়না আর কেও ভালো না বেশে পায়


সেহরি খাওয়ার পর রামিশা গভীর ঘুমে হারিয়ে গিয়েছেআথনু বিছানায় শোয়া থেকে উঠে বসে রামিশার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছেমেয়েদের মধ্যে কত তফাৎ এক, ছায়া আমার ভালোবাসার মানুষ হয়েও সে আমাকে বুঝতে পারেনা, আর এক, রামিশা আমার কেউ না হয়েও আমার কষ্ট বুঝতে পারেআথনু রামিশার মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক মায়া অনুভব করছেরামিশার মুখের উপর চুল গুলো এসে অর্ধেকটা মুখ ঢেকে গিয়েছেফ্যানের বাতাসে চুল গুলো মুখের উপর এসে রামিশার ঘুমের সমস্যা করছেআথনু আস্তে করে রামিশার মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে টেবিলে রাখা রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল গুলো বেঁধে দিলচুল বাঁধার সময় রামিশার একটু নড়েচড়ে উঠলোআথনু একটু ঘাবড়ে গিয়ে চুপ করে বসে রইলোরামিশা যেভাবে নড়েচড়ে উঠেছে তাতে আথনু এর মনে হচ্ছে রামিশা সজাগরামিশা সজাগ কিনা তা নিশ্চিত হতে সে রামিশাকে নিচু গলায় ডাক দিলোআথনু এর ডাকে রামিশা কোনো সাড়া দিল না রামিশা নাইট ড্রেস পড়াতে নাইট ড্রেস এর এক অংশ হাঁটুর উপরে উঠে গিয়েছেআথনু যখন তার পাশে থাকা চাদরটা রামিশার গায়ে জড়িয়ে দিতে গেলো তখন রামিশার পায়ের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলরামিশা তার পায়ে সুন্দর করে নেল পালিশ দিয়েছে, এবং ডান পায়ে পায়েল পড়েছেআথনু যখন ছায়ার বাসায় যেত ছায়া ঠিক একই ভাবে হাতে পায়ে নেইল পলিশ দিয়ে নুপুর পরে আথনু এর সামনে আসতআর আথনু হাতে পায়ে নেইল পলিশ দেয়া, পায়েল বা নুপুর পরা ভীষণ পছন্দ করেআথনু রামিশার পায়ে নেইল পলিশ আর পায়েল দেয়া দেখে লোভ সামলাতে পারল না তাই সে আলতো করে রামিশার পায়ে হাত দিলোআথনু রামিশার পায়ে হাত দিয়ে তার পা থেকে পায়েলটা খুলে ফেললো

আথনু ছায়াকে দিবে বলে এক জোড়া স্বর্ণের নুপুর বানিয়ে ছিল কিন্তু ভাগ্যের পরিণতি আর সময়ের অভাবে সেটা তাকে দিতে পারে নাই আর তাই আজও সেই নুপুর আথনু এর ব্যাগে বন্দি হয়ে পরে আছেআথনু বিছানা থেকে নেমে ব্যাগের চেইন খুলে নুপুরের প্যাকেট খুলে নুপুর বের করলোআথনু এর ব্যাগে বন্দি হয়ে থাকা ছায়ার সেই নূপুর আজও চক চক করছেআথনু নুপুর হাতে নিয়ে বিছানায় গিয়ে আবার বসে পড়লআথনু রামিশার দুই পা তার রানের উপর নিয়ে নুপুর পরিয়ে দিলোআথনু রামিশার পায়ে নুপুর পড়ানোর সময় একটু অবাক হয়ে গেলআথনু যখন রামিশার পা থেকে পায়েল খুলছিল তখন রামিশা নড়েচড়ে উঠেছিল কিন্তু এখন দুই পা রানের উপর নিয়ে নুপুর পরিয়ে দেয়ার সময় কোনো নড়াচড়া করে নাইআথনু রামিশাকে নুপুর পরিয়ে চাদর দিয়ে পা ঢেকে দিয়ে বিছানা থেকে নেমে সোজা বাথরুমে গেলো।।



খুব শীগ্রই এই গল্পের (পার্ট-২৯) পোস্ট করা হবে এবং পার্ট-২৯ তে বিশেষ আকর্শন থাকবে


Coming soon will be posted (Part-29) of this story.


নোট: গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!!


No comments:

Post a Comment