♥ আমার ভালবাসা বুঝলেনা
♥
আরিফ জামান
(পার্ট-২৪)
ঢাকা শহরে হাতে সময় না নিয়ে কেউ যদি কোন কাজের
উদ্দেশে বের হয় তাহলে গন্তব্য স্থানে যাওয়ার আগেই দিন শেষ হয়ে যাবে। কোথাও নিজের মতো করে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া অনেক বিরক্তিকর ব্যাপার কারণ একবার যদি জ্যাম লাগে তাহলে সময়মতো নিজের গন্তব্য স্থানে পৌঁছানো যাবেনা। আথনুকের এমনিতেই বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়েছে তার মধ্যে আবার জ্যাম। ৪৫ মিনিট ধরে একই জায়গায় বসে আছি সিগন্যাল ছাড়ার কোন নাম গন্ধ নেই।
ওদিকে রামিশা সকাল থেকে রেডি হয়ে বসে আছে এর মধ্যে সে তিনবার ফোনও দিয়েছে। রামিশা কি মনে করবে জানিনা। আজ বৃহস্পতিবার জুন মাসের ১৪ তারিখ আজকে শেষ অফিস
তাই ঢাকা শহরের মানুষ গুলো সব সামনে
ঈদের জন্য ছুটে চলেছে
গ্রামের বাড়ির দিকে। রাস্তায় জ্যামের কারণে
যে যার মত করে
কেউ-বা যাচ্ছে পায়ে হেঁটে আবার কেউ এক মোটরসাইকেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই
জনের জায়গায় তিনজন যাচ্ছে। আথনুক যদিও মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছে কিন্তু রাস্তায় ভয়াবহ জ্যাম দেখে নিজেই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য সময়
মোটরসাইকেল যদি রাস্তার পাশে দিয়ে যেতে পারে কিন্তু আজকে সেটাও হচ্ছে না।
আথনুকের বয়স যখন ৭ বছর তখন থেকে সে রোজা রাখতো। অসুস্থ না হলে সে কখনই রোজা ভাঙতো না। এবার ছায়ার চিন্তায় অসুস্থ হয়ে
কয়েকটা রোজা মিস হয়ে গিয়েছে। আথনুক
টানা দুই ঘণ্টা জ্যাম ঠেলে তারপর
রামিশার বাসার নিচে গিয়ে পৌঁছালো। আথনুক আজকে রোজা রাখে নাই কারণ রোজা রেখে সে জার্নি করতে পারে না। তাছাড়া সেদিন রামিশার বাসার সামনে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া শরীর
টা এখনো পুরোপুরি ঠিক হয় নাই।
আথনুক তারপরও এই অসুস্থ শরীর নিয়ে
ছায়ার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। আথনুক রামিশার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থেকে রামিশাকে
ফোন দিলো। রামিশা ফোন না ধরে বারান্দা থেকে চেঁচিয়ে বলল ভাইয়া দাড়ান আমি নামছি…!! ৫ মিনিট পর রামিশা হাতে ছোট্ট একটা ব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে আসলো। রামিশা আজকে হালকা আকাশি নীল রঙের শাড়ি পরেছে। কপালে ছোট্ট করে একটা কালো টিপ দিয়েছে, অপরিচিত কেউ হঠাৎ করে রামিশাকে দেখে বুঝতেই পারবে না তার বিয়ে হয়েছে এবং সে এক সন্তানের মা। আথনুক রামিশাকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন রাজি হয়েছিল তখন বাসার অনেকেই বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছিল। অনেকেই বলেছে রামিশা বিধবা, তাকে ছায়ার বিয়েতে নিয়ে গেলে ছায়ার অমঙ্গল হবে, এরকম হাজারো বাজে মন্তব্য করেছে। আথনুক যদিও এই সমস্ত বাজে কথা মোটেও বিশ্বাস করেনা কিন্তু তারপরও মানুষের মুখে এই সমস্ত বাজে মন্তব্য শুনলে কার মাথা ঠিক থাকে!!
তাই এই সমস্ত বাজে মন্তব্য শোনার পর
আথনুক
প্রথমে রামিশাকে তার সাথে নিতে রাজি না হলেও রামিশার ধৈর্য শক্তি এবং মন মানসিকতার দিক বিবেচনা করে সে রাজি হয়েছে। আথনুক মনে করে প্রতিটি মেয়ের হাসি খুশি ভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
রামিশা বিধবা বলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে বা তার কোন ইচ্ছা শক্তি নাই এটা কোথাও লেখা নাই।
আমরা মানব জাতি কোন কিছু চিন্তা না করেই এই সমস্ত আইন তৈরী
করি কিন্তু ভবিষ্যতে এই সমস্ত আইনের আওতায় আমরা
নিজেরাই পরি, যেমন রামিশা পড়েছে। তাছাড়া
রামিশা কোন
বাজে মেয়ে নয়, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর সে চাইলে অন্য দশটা মেয়ের মতো আর একটি বিয়ে
করে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করতে পারতো কিন্তু সে তা করে নাই। রামিশার সাথে কথা বলে আথনুকের
মনে হয়েছে সে একজন সৎ চরিত্রের মানুষ।
হতে পারে
রামিশার
ভাগ্য তার সাত দেয় নাই কম বয়সে সে তার স্বামীকে হারিয়েছে কিন্তু তারপরও সে হাল ছাড়ে
নাই।
আথনুক এতো দেরি করে আসার পরেও রামিশার
মনে কোনো ক্ষোভ নেই। রামিশা দূর থেকে হাসতে হাসতে আথনুকের কাছে এলো। আথনুক জিজ্ঞেস করলো এত ছোট ব্যাগ নিয়ে এসেছেন এইটাতে কয়টি কাপড় আঁটবে? সমস্যা নেই ভাইয়া যে কয়টা এঁটেছে তা দিয়েই হবে তাছাড়া আমরাতো ওখানে কয়েক মাস থাকার জন্য জাচ্ছিনা যে ব্যাগ ভরে কাপড় নিতে হবে যা নিয়েছি তাতেই হবে।
তারপরও ছায়া এবং রবিন এর বিয়ে বলে কথা!!
আপনিতো দেখছি অনেক মজায় আছেন!! কেন? শুনেছি প্রেমিকা ছেড়ে গেলে মুখ দিয়ে কথা বের হয়না
কিন্তু আপনি দেখছি তার উল্টো, ছায়ার বিয়ের কথা শুনে কোথায় আপনি মন খারাপ করবেন তা না
করে আপনি ছায়ার বিয়ে খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে পড়েছেন, আজব মানুষ!
আথনুক
রামিশার কথা শুনে প্রশ্ন করে বসলো “ছায়া আমাকে ছেড়ে গিয়েছে এই জন্য মন খারাপ করে নিজেকে ধুকে ধুকে শেষ করে দিতে হবে এটা কোথায় লেখা রয়েছে” ? তাই বলে এত পরিবর্তন ? পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক!! কারণ আপনি একটা জিনিস চিন্তা করে দেখুন আমি যখন থেকে ছায়াকে ভালোবেসেছি তখন থেকে আমার মাথায় তার জন্য হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খেতো। যেমন, আমি ছায়াকে মনে মনে ভালোবাসি, সে আমাকে ভালোবাসে কিনা,
“আমি তোমাকে ভালোবাসি” এই কথাটি ছায়াকে আমি কখনো বলতে পারবো কিনা, যদি কখনো সাহস করে
মুখ ফুটে বলি, তাহলে আমার ভালবাসা গ্রহণ করবে কিনা, ইত্যাদি!! শুধু তাই নয়! অনেক ত্যাগ
শিকার করার পর আমি যখন তাকে এসএমএস করে বললাম “ছায়া আমি তোমাকে ভালোবাসি” তখন শুধু
তার একটি উত্তরের আশায় আমি বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে সারারাত জেগে কাটিয়ে দিয়েছি। অথচ সে আমাকে কোন কিছু না বলেই সুন্দর ভাবে রবিন এর সাথে চলে গিয়েছে। আমি মানলাম সে পরিস্থিতির শিকার হয়ে রবিনের সাথে চলে গিয়েছে কিন্তু তারপরও আমাকে একটিবার ফোন করে
তার বলা উচিত ছিল। কাউকে “I
Love you” না বলে চিন্তা মুক্ত থাকা যায়, কিন্তু! কাউকে “I
Love you” বলে চিন্তা মুক্ত থাকা অসম্ভব!!
আজকে ছায়া আমার মাঝে নেই আমার মনে চিন্তাও নেই কারণ আমি জেনে গিয়েছি ছায়া আমাকে ভালবাসেনা। রামিশা আথনুকের
কথা শোনার পর আবারো প্রশ্ন করে বসলো তাহলে আপনি ছায়ার বিয়ে খেতে যাচ্ছেন কেন? কারণ
আমি ছায়াকে বোঝাতে চাই আমার ভালোবাসা মিথ্যে নয় এবং আমি তাকে ছাড়া বেঁচে থাকতে পারি। রামিশা আথনুকের
মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো তার চোখের কোনে জল চলে এসেছে তাই সে কথা ঘুরিয়ে বলল
ভাইয়া এখানেই গল্প করবেন? না রওনা দিবেন? আথনুক মাথা ঘুরিয়ে বলল পিছনে উঠে বসেন।
রামিশা আথনুকের বাইকের পিছনে উঠে বসলো আর আথনুকের
বাইক ছুটে চললো ছায়ার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে।
আথনুক প্রায় দীর্ঘ দুই ঘন্টা
ধরে বাইক চালাচ্ছে কিন্তু রামিশার কোন সাড়া শব্দ নেই। আথনুক ভাবলো রামিশা মেয়ে মানুষ, যদি তার বাথরুমের প্রয়োজন হয় তাহলে সে লজ্জায় আমাকে বলতে পারবে না তার চেয়ে বরং আমি আগে ভাগে সামনে পথে কোন একটা রেস্টুরেন্ট দেখে দাঁড়িয়ে একটু সময় রেস্ট নিয়ে আবার রওনা দিবো। এতে রেস্ট নেওয়াও হবে
রামিশার জরুরি কোন কাজ থাকলে সেটা সেরে নিতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হলো
বাসা থেকে দেরি করে রওনা দেয়ার কারণে
সন্ধ্যা হয়ে আসছে। আর
তাছাড়া আথনুক চায়না রামিশাকে নিয়ে রাস্তা ঘাটে কোন বিপদে পড়ুক।
আথনুক বন্ধুদের কাছে শুনেছে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোড বেশি একটা ভালোনা প্রায় সময় এই রোডে নাকি ছিনতাই হয়। আথনুকের বাইকের
চাকা যখন “নরসিংদীতে”
পা রাখলো আথনুক তখন তার বাইকের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে লক্ষ করলো
রাত ৮:০০ পিএম বাজে, আর ঠিক সেই সময় ঝম ঝম করে বৃষ্টি নামল। বৃষ্টি থেকে
রক্ষা পাওয়ার জন্য আথনুক কোন কিছু না ভেবেই রাস্তার পাশে একটা চায়ের দোকানে বাইক দাড় করালো।
চায়ের দোকানে
ছোট্ট একটা ছেলে এবং তিন জন বয়স্ক মুরুব্বি
বসে রয়েছে। দোকানের সামনে বাইক দাঁড়ানো দেখে
একজন মুরুব্বি বললেন বাবাজি মোটরসাইকেল রাইখা ভেতরে আহেন। আথনুক রামিশাকে বললো তুমি দোকানের নিচে দাড়াও আমি মোটরসাইকেল দোকানের পাশে পার্ক করে আসছি নয় তো ওনার সমস্যা হবে।
আথনুক রামিশাকে তুমি বলাতে রামিশা একটু চমকে উঠলো। আথনুক রামিশাকে Sorry বলতেই রামিশা আথনুককে বললো Sorry বলার কোন প্রয়োজন নেই আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কেন আমাকে তুমি বলেছেন।
আপনি এই জন্য আমাকে তুমি বলেছেন এই মুরুব্বী গুলো যাতে বুঝতে আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী, তাইনা? আথনুক মুচকি হেসে মাথা নাড়া দিলো।
আথনুক বাইক পার্কিং করে দোকানের নিচে গিয়ে দাড়াতেই ছোট্ট ছেলেটি দুকাপ চা নিয়ে এলো। আথনুক চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিতেই বয়স্ক মুরুব্বিদের মধ্যে একজন জিজ্ঞেস করলো বাবাজি ঢাকা থাইকা আইছেন? আথনুক উত্তরে জবাব দিলো জি চাচা, ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আইছেন ? জি চাচা, আপনাদের বাসা কি নরসিংদীতে
? না চাচা, আমাদের বাসা সিলেটে, সিলেটে বাসার কথা শুনে মুরুব্বি একটু চমকে উঠলো। বলেন কি!! বাবাজি সিলেট তো অহনো অনেক দূর…..!
এই রাইতে মামনিরে নিয়ে যাইবেন কিভাবে ? ভাবছি রাতে এখানে কোনো হোটেলে থেকে সকালে আবার
রওনা দিবো। চাচা এখানে ভালো কোন হোটেল আছে
? তেমন কোন ভালো হোটেল নাই তবে শহরে একটা হোটেল আছে এত রাইতে আপনাদের সিট দিব কিনা জানিনা। চাচার
কথা শুনে আথনুক একটু চিন্তিত হয়ে পড়ল।
আথনুক একা থাকলে কোন চিন্তা ছিল না কিন্তু তার সাথে রামিশা রয়েছে এটাই তার বড় চিন্তা।
আথনুককে
চিন্তিত দেখে চাচা বললেন বাবাজি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি আপনাদের একটা পরামর্শ দিতে পারি। বলেন কি পরামর্শ,
আপনারা আজকের রাতটি আমার বাসায় থাইকা সকালে ঘুম থেকে উঠে যাবেন। আথনুক রামিশার সেফটির কথা চিন্তা করেই চাচার কথায় রাজি হলো। প্রায় এক ঘন্টা পর বৃষ্টি থামলে চাচা
দোকানের ছেলেটিকে ডাক দিয়ে বলল বাবা
রনি, তুই বাবাজি-গো বাসায় লইয়া যা আমি দোকান বন্ধ কইরা আইতাছি। চাচার কথায়
আথনুকের বুঝতে বাকি রইল না রনি তার ছেলে। রনি তার বাবার কথা মতো আথনুক এবং রামিশাকে তাদের বাসায় নিয়ে গেলো। আথনুক এবং রামিশা যখন চাচার বাসায় প্রবেশ করছিল তখন বাসাটা অন্ধকার ছিল। অন্ধকার দেখে
আথনুক তার মোটরসাইকেল লাইট জ্বালিয়ে রনিকে জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া তোমাদের বাসা অন্ধকার কেন? রনি উত্তরে বললো মনে হইতাছে কারেন্ট চইলা গেছে।
রনি বাহির থেকে মা… মা… চিৎকার করে ডাক দিলো।
কিন্তু রনির ডাকে ভিতর থেকে
রামিশার
সমবয়সী একটি মেয়ে চার্জার লাইট হাতে নিয়ে বেরিয়ে এলো। মেয়েটিকে দেখে রনি বলল আপা আব্বায় কইছে
এনারা ঢাকা থেইকা আইছে তাই আজকে এনারা তোমার রুমে থাকবো। রনি
কথায় আথনুকের বুঝতে বাকি রইল না মেয়েটি তার বোন। মেয়েটি উত্তরে বললো হৈ-ছে! তোরে আর কৈ-তে হইবোনা, আব্বা ফোন করে সব কৈ-ছে। মেয়েটি
আথনুক আর
রামিশাকে একটি রুমে ঢুকে দিয়ে বললো ভাইয়া আপনি মোটরসাইকেল তালা মাইরা রাইখা আপনারা দুজন এই রুমে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে নেন কারেন্ট আইলে আমি আপনাগো এই খানে খাবার দিয়ে জামু।
মেয়েটি এই কথা বলে চার্জার লাইট টেবিলের উপর রেখে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। আথনুক রুমের সামনে মোটরসাইকেল তালা মেরে রেখে রুমে প্রবেশ করে অবাক হয়ে গেল।
রুমের এক পাশে ছোট্ট একটি সিঙ্গেল খাট,
পাশে একটি ড্রেসিং টেবিল, জানালার পাশে একটি টেবিল, টেবিলের উপর অনেক গুলো বই সাজিয়ে
রেখেছে, রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো, মনে হয় কেউ নিজের হাতে গুছিয়ে রেখেছে। আথনুক রামিশাকে বললো তুমি বাথরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নাও তারপর আমি যাবো। আথনুকের কথা মত রামিশা বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে আথনুককে বললো যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। আথনুক ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে ঢুকে পড়লো।
রামিশা ভাবলো আথনুক মাত্র বাথরুমে ঢুকেছে বাথরুম থেকে বের হতে সময় লাগবে আমি এর মধ্যে নাইট ড্রেস টি পরে নেই।
আথনুক বাথরুমে ঢোকার পর তার মনে হয়েছে সে ফেসওয়াশ নিতে ভুলে গিয়েছে তাই সে
ফেসওয়াশ নেয়ার জন্য বাথরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু বাথরুমের দরজা খুলে
যে জিনিসটি আথনুকের চোখে
পড়লো তার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।।
No comments:
Post a Comment