♥আমার ভালবাসা বুঝলেনা
♥
আরিফ জামান
(পার্ট-১৬)
ভালোবাসা
এমন একটি জিনিস যদি
এই জিনিষটিকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন
করা হয় তাহলে ১০০%
সফল হওয়ার চাঞ্চ থাকে
কিন্তু যদি সঠিক ভাবে
উপস্থাপন করা না হয়
তাহলে সারা জীবন কাঁদতে
হয়। আথনুক ঝোঁকের মাথায় ছায়াকে এসএমএস করে “I Love You” বলেছে ঠিকই কিন্তু ছায়া এর উত্তর কি দেবে সেটা নিয়ে ভীষণ ভয়ে আছে।
আথনুকের এই মুহূর্তে ছায়াকে পাওয়ার চেয়ে হারানোর ভয়টা বেশি কাজ করছে কারণ সে ভাবছে ছায়া যদি কোনো কারণে তাকে না করে দেয় তাহলে তো সারা জীবন তাকে পাগল প্রেমিকের মতো কাঁদতে হবে।
আথনুক অনেক সাহস করে কাঁপা হাতে মোবাইল টা হাতে নিয়ে “OK Button” চাপ দিলো কিন্তু “OK Button” চাপ দিয়ে আথনুক একটু বোকা সেজে গেলো কারণ এসএমএস টি ছিলো।
“Robi Dhamaka Offers!
৩০০ লোকাল SMS ৮ টাকায়।
মেয়াদ ২৪ ঘন্টা।
ডায়াল
*১২১*৩০০#।
SMS ব্যালান্স দেখতে: *২২২*১২#।
এখন আরও বেশি
SMS করুন!
আথনুক
লম্বা
করে
একটি
নিঃশ্বাস
নিয়ে
মোবাইল
টি
বিছানার
উপর
রেখে
আবারো
বারান্দায়
গিয়ে
ইজি
চেয়ারে
বসে
পড়লো। কিন্তু! ইজি চেয়ারে বসে আথনুকের পূর্বের থেকে এখন আরো বেশি খারাপ লাগছে, গলাটা কেমন যেন শুকিয়ে যাচ্ছে, বুকটা কেমন জানি ধড়পড় করছে, চোখ দুটো জ্বলছে, সাথে মাথাটাও ঘুরছে। আথনুক ভাবছে হঠাৎ করে রাত জাগার কারণে হয়তোবা খারাপ লাগছে। সে চিন্তা করল এক কাপ কফি খেলে হয়তোবা শরীরটা ঠিক হয়ে যাবে। আথনুক ইজি চেয়ার থেকে উঠে সোজা ডাইনিং রুমে চলে গেলো। আথনুক ডাইনিং রুমে প্রবেশ করে লাইট জ্বালিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল ৬:২৫ বাজে। আথনুক একবার ভাবলো কফি বানানোর জন্য আম্মুকে ডাক দিবে কিন্তু পরে ভাবলো শুধু এককাপ কফি বানানোর জন্য আম্মুর ঘুম নষ্ট করে লাভ নেই বরং নিজেই বানিয়ে ফেলি।
আথনুক
ডাইনিং
রুমে
ফ্রিজের
পাশে
ট্রলির
উপর
রাখা
ইলেকট্রিক
কেটলিতে
পরিমাণ
মতো
পানি
দিয়ে
সুইচ
অন
করে
দিলো। দুই মিনিটের মধ্যে পানি গরম হয়ে
অটোমেটিক সুইচ বন্ধ হয়ে গেল। আথনুক আগে থেকেই ব্ল্যাক কফি খেতে ভালোবাসে। ট্রলির উপর রাখা কফির বোতল থেকে হাফ চামুচ কফি কাপে নিয়ে সাথে এক চা চামুচ চিনি মিশিয়ে গরম পানি ঢেলে দিলো। আথনুক চায়ের চামুচ দিয়ে কফি মিশানোর সময় চামুচটি হটাৎ করে হাত থেকে পরে গেলো। চায়ের চামুচ ফ্লোরে পড়ে যাওয়াতে শব্দ হলো। শব্দ
শুনে আথনুকের আম্মু রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এসে দেখে আথনুক কফি বানাচ্ছে। আথনুককে কফি বানাতে দেখে আম্মু প্রশ্ন করলো আব্বু কিসের আওয়াজ হলো? আম্মু চামুচ হাত থেকে পরে গিয়েছে, তুই কি কফি বানাতে পারিস ? আমাকে ডাক দিলেইতো আমি বানিয়ে দিতাম। আথনুক একটু মমতা ভরা আবেগ নিয়ে বললো মা
তুমি কিজে বোলো….
এই! সামান্য কফি বানানোর জন্য তোমাকে ডাক দিয়ে তোমার ঘুম ভাঙ্গাই কিভাবে বলতো
? তাই না কি-রে……
আমার ছেলে এত বড়
হয়ে গিয়েছে আমি তো জানতাম
না! মা…. তুমি সকাল
সকাল কি শুরু করলে
? যাওতো! ঘরে যাও! আর
আমাকে কফি খেতে দাও। এই বলে
আথনুক কফির কাপ হাতে নিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
ছেলে যতই অভিনয় করুক না কেন মায়ের মন কখনোই মানে
না কারণ ছেলের মুখ দেখলেই মা বলে দিতে পারে তার ছেলের মনে কিসের কষ্ট। আথনুক যখন কফি বানাচ্ছিল তখন তার মা তার
চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরেছিলো আথনুক সারারাত জেগে ছিল এবং সে ঘুমায় নাই। তাছাড়া
আথনুকের মা
ভালো করে জানেন আথনুক কখনোই এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেনা। আথনুকের পিছু পিছু তার মা
রুমে প্রবেশ করলো। আথনুক
রুমে নেই, আথনুকের মা এক পা দু পা করে সামনের দিকে এগোতেই
দেখলো আথনুক।।
No comments:
Post a Comment